বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নতুন উদ্যোগ: শৌচাগার নির্মাণে বাড়তি ১২ হাজার টাকা
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বড় এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১২ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। কিন্তু শুধু বাড়ি তৈরি করেই থেমে থাকছে না রাজ্য সরকার, শৌচাগার নির্মাণের জন্যও বাড়তি ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
শৌচাগার নির্মাণে গুরুত্ব
রাজ্য পঞ্চায়েত মন্ত্রী, প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, বাংলাকে ইতিমধ্যেই “উন্মুক্ত শৌচমুক্ত রাজ্য” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় শৌচাগার নির্মাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের সাথে সংযোগ
এই উদ্যোগটি মিশন নির্মল বাংলার সাথে সংযুক্ত হয়ে বাস্তবায়িত হবে। শৌচাগারের জন্য সাধারণত ৬ হাজার টাকা দুটি কিস্তিতে দেওয়া হয়, এবং এই নিয়মও এখানে প্রযোজ্য হবে।
স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (SOP)
রাজ্য সরকারের ঘোষিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (এসওপি)-এর অধীনে, বাড়ি নির্মাণকারীদের জন্য বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং শৌচাগারের মতো মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় এই পরিবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থ ছাড়ার প্রক্রিয়া
বাড়ি তৈরির জন্য ৬০ হাজার টাকা দুটি কিস্তিতে প্রদান করা হবে। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর, শৌচাগারের নির্মাণ কাজ শুরু হলে অতিরিক্ত ১২ হাজার টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। শৌচাগারের টাকা দুটি কিস্তিতে দেওয়া হবে।
জেলাগুলির ভূমিকা এবং বৈঠক
এই উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়িত করতে, প্রতিটি জেলাকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হবে। শীঘ্রই উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক ডাকা হবে। তবে, শৌচাগার তৈরির জন্য উপভোক্তাদের আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে।
পুরনো শৌচাগারের পুনর্গঠন
অনেক ক্ষেত্রে, পুরনো শৌচাগারের অবস্থা খারাপ। মিশন নির্মল বাংলার অধীনে যারা আগে শৌচাগার পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শেষ কথা
বাংলার বাড়ি প্রকল্প রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাড়ি তৈরির পাশাপাশি শৌচাগারের উদ্যোগ সরকারের এই চিন্তাভাবনা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় করে তুলছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রকল্পের সাফল্যকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে, এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে, রাজ্য সরকার প্রান্তিক মানুষের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।